মাদক দ্রব্য মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক। মাদক আজ সামাজিক ব্যাধি থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতি বিধংসকারী মরণব্যাধি মাদক আজ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জঘন্য পাপাচার আর মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি চরম অপরাধ। তাই এহেন ঘৃণ্য দ্রব্যের প্রস্তুতকারক, বিক্রি ও ব্যবহার রোধে চাই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।
মাদক প্রতিরোধে সরকার মাদক বিরোধী আলোচনা সভা, পোস্টার, লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জাতিকে মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন করে আসছে।দেশব্যাপী মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান পরিচালনায় প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের বিরুদ্ধে। তবু থামছে না এই মাদক? মনে রাখতে হবে মাদক নির্মূল কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রয়োজন সরকার ও জনগণের মুষ্টিবদ্ধ প্রচেষ্টা।
মাদকদ্রব্য কি?
মাদক হলো এমন প্রাকৃতিক বা রাসায়নিক দ্রব্য যা শরীর বা মনের উপর নির্ভরশীলতা বা আসক্তি সৃষ্টি করে, যা কয়েকবার গ্রহণের ফলে বারবার গ্রহণ করতে ইচ্ছে করে। এরূপ ইচ্ছে জাগার পর তা গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা হঠাৎ গ্রহণ বন্ধ করলে শরীরের নানান রকম প্রতিক্রিয়া বা যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। মাদকদ্রব্য বারবার গ্রহণের ফলে শরীরে এর চাহিদা ক্রমাগত বেড়ে যায়। আমাদের দেশে প্রচলিত মাদকদ্রব্য গুলো হলো; ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবা, আফিম, মরফিন পেথিডিন, টিডিজেসিক ইঞ্জেকশন, গাঁজা, ভাং, মদ, তাড়ী, ঘুমের ওষুধ।
মাদকদ্রব্যের অনেক কুফল রয়েছে নিম্নে
মাদকাসক্তির কারণ, মাদকাসক্তির উপসর্গ ও মাদকাসক্ত কে চেনার উপায়, কুফল সমূহ এবং এর প্রতিকারের উপায়গুলো পাঠক সমাজের নিকট আলোচনা করছি।
মাদকাসক্তির কারণ
• দলগত চাপ বা মাদকাসক্ত সঙ্গী-সাথীদের প্রভাব প্রলোভন • মাদকদ্রব্যের প্রতি কৌতুহল, অজ্ঞতা, অসচেতনতা, মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার অভাব • পারিবারিক দ্বন্দ্ব, কলহ, অবিশ্বাস ও অশান্তি • দুর্বল ব্যক্তিত্ব এবং মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা অভাব • পরিবারের অন্যান্যদের মাদকদ্রব্য গ্রহণ, মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকা • পরিবারে অপসংস্কৃতির চর্চা এবং অভিভাবকের উশৃঙ্খল জীবন যাপন • অভিভাবকের উদাসীনতা, অবহেলা, অতিশাসন, কিংবা অতি আদর • বিবাহ বিচ্ছেদ বা বহুবিবাহ এবং পরিবার ভেঙ্গে যাওয়া • অপরাধ সম্পৃক্ততা ও অবৈধ উপার্জন • বংশগত প্রভাব ও ব্যক্তিবিশেষের বিশেষ জৈব রাসায়নিক অবস্থা • মাদকের সহজ লভ্যতা।
মাদকাসক্তির উপসর্গ ও মাদকাসক্ত কে চেনার উপায়
• অস্বাভাবিক আচরণ, খিটখিটে মেজাজ, বদ অভ্যাস • হঠাৎ আক্রমণাত্মক ও কলহপ্রবণ হয়ে ওঠা • অধিকাংশ সময়ই বিমর্ষ ও চুপচাপ থাকা বা ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকা • পরিবারের সদস্যদের এড়িয়ে চলা • উশৃংখল ও অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন • সময়মতো খাওয়া ও গোসলে অনীহা • কথা বলার সময় আড়ষ্ঠতা, স্মরণশক্তি হ্রাস ও দৃষ্টিতে বিহ্বলতা • যে কোন ব্যাপারে অসহিষ্ণুতা, অধৈর্য ও অমনোযোগ • অকারণে মিথ্যা কথা বলা ও বাচালতা • চোখের কোণে কালিপড়া, শরীর শুকিয়ে যাওয়া, শরীরে দাগ পড়া • টাকা-পয়সার বেশি চাহিদা, চৌর্যবৃত্তি, যার তার কাছে টাকা চাওয়া • ব্যবহার্য বিছানা, পরিধেয় বস্ত্র নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত থাকা • অকারণে যখন তখন বাড়ির বাহিরে যাওয়া, রাত করে বাড়ি ফেরা • ঘরে বসে থাকলে সারাক্ষণ চটপট করা • ঘরের গোপন স্থানে মাদক গ্রহণের ব্যবহার্য উপকরণ থাকা • মাদক গ্রহণ করতে না পারলে শারীরিক বিকার ও যন্ত্রণার নানান প্রকাশ।
মাদকের কুফল সমূহ
গাঁজা সেবনের কুফল
• মানসিক ও স্বাস্থ্যের অবনতি • সামাজিক জীবন ব্যাহত • আর্থিক অসঙ্গতি • হ্যালুসিনেশন, সিজোফ্রেনিয়া • অবসাদ, মতিভ্রম, ক্ষুধামন্দা • ব্যবহারে অসংলগ্নতা • রক্তচাপ বৃদ্ধি স্মরণশক্তি হ্রাস স্মৃতি বিভ্রাট • মনোযোগের অভাব।
হেরোইন সেবনের কুফল
• মৃত্যু জীবন শক্তি হ্রাস • ফুসফুস ও যকৃতের ব্যবহারিতা হ্রাস • খাবারের ব্যাপারে অনীহা • ডায়রিয়া, বমি, খিঁচুনি, হজম শক্তি হ্রাস, অক্ষমতা • শিরার প্রদাহ, ফোঁড়া, ইনফেকশন, পুরুষত্বহীনতা ও বন্ধ্যাত্ব • স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও ব্যক্তিগত অপরিচ্ছন্নতা, আগ্রাসী, আক্রমণাত্মক মনোভাব • হেপাটাইটিস বি/সি এইডস।
ইয়াবা সেবনের কুফল
• অস্বাভাবিক আচরণ, কলহপ্রবণতা, হতাশা, নৈরাশ্য, বিষাদগ্রস্ত • মস্তিষ্ক বিকৃতি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, পঙ্গুত্ব বরণের আশঙ্কা • সন্দেহ বাতিকতা, হার্ট অ্যাটাক, শারীরিক ভারসাম্যহীনতার • যৌন আকর্ষণের অনুভূতি হ্রাস • বমি, চুলকানি, মাথা ঘুরানো, যৌন ক্ষমতা হ্রাস ও বন্ধ্যাত্ব • রক্তচাপ বৃদ্ধি, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, লিভার ও কিডনির ক্ষতি • মানসিক ও শারীরিক অস্থিরতা।
মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য নিন্মোক্ত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা প্রয়োজন।
• স্ব-স্ব ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করা • অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা • মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া • কারিগরি ও ভোকেশনাল ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা • খেলাধুলা ও সুস্থবিনোদনে আগ্রহী করে তোলা • অভিজ্ঞ প্রোগ্রামার দ্বারা মোটিভেশন এর ব্যবস্থা করা • পরিবার ও সামাজিকভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য না করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর লক্ষ্যে মাদকাসক্তকে সময় দেওয়া • সর্বোপরি মাদকের ভয়াবহতার বাস্তব রূপ অনুধাবনের চেষ্টা করানো • সাধ্য অনুযায়ী মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তির ব্যবস্থা করা।
মাদক নির্মূলে চাই সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে হারাম বা নিষিদ্ধ: পৃথিবীর কোন ধর্মই মাদক দ্রব্যের ব্যবহারকে অনুমোদন করেনি। আর ইসলামের দৃষ্টিতে সকল প্রকার মাদক দ্রব্যের ব্যবহার একটি জঘন্য ধর্মীয় ও সামাজিক অপরাধ। তাই ইসলামী শরীআতে মদ্যপান সম্পূর্ণ ভাবে হারাম ও নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয়েছে। হাদীস শরিফে বর্ণিত আছে মদ ও ঈমান একত্র হতে পারে না (নাসাঈ শরিফ)। অর্থাৎ কোন মুসলমান মদ গ্রহণ ও বহন করতে পারে না।
অপচয়
মাদকাসক্তি মারাত্মক অপচয়। একজন মাদকাসক্তের জন্য দৈনিক প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। মদ্যপানে প্রচুর ধন-সম্পদ অপব্যয় ও অপচয় হয়। অপব্যয় মারাত্মক অপরাধ। ইসলামে সর্বপ্রকার অপব্যয় বর্জনীয়। আল্লাহ তা’আলা অপব্যয়ীকে শয়তানের ভাই বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেন: “নিশ্চয়ই অপব্যয়কারিগণ শয়তানের ভাই (বনী ইসরাঈল: ২৭) আর অপচয় থেকেই শুরু হয় অবৈধ উপার্জনের লোভ লালসা। মাদকাসক্ত তার মাদকের ব্যয় সংকুলানের জন্য নানা রকম দুর্নীতি, অসামাজিক ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়ে। মদ পান করে মানুষ নিকৃষ্টতর কর্মকাণ্ড ও পাপাচারে লিপ্ত হয়। মাদক দ্রব্য ব্যবহারে মানুষ চিত্তবিভ্রম, অস্থির ও উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠে। ব্যভিচার ও নরহত্যার অধিকাংশই বিষধর মাদকাসক্তির পরিণাম। ট্রাক, বাস, ট্যাক্সি ইত্যাদি যানবাহন সংঘর্ষ ও দুর্ঘটনা অনেক সময় মাদকাসক্ত চালকের কারণেই ঘটে থাকে। মাদকের জন্য শুরু করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যা, গুম, অপহরণ, ধর্ষণসহ সব ধরনের অপরাধ।
প্রতিকার
ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতিকে বিধ্বস্তকারী মরণব্যাধি ব্যাধি হচ্ছে মাদক। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জঘন্য পাপাচার। আর মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি চরম অপরাধ। তাই এহেন ঘৃণ্য দ্রব্যের ব্যবহার ও প্রসার রোধ করা দরকার। নিচে মাদকাসক্তি প্রতিরোধে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে তা বর্ণনা করছি। মনে রাখতে হবে মাদক নির্মূল কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রয়োজন সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
প্রস্তুত ও সরবরাহ বন্ধকরণ
যারা মাদক দ্রব্য প্রস্তুত, এর প্রচলন ও সরবরাহ কাজে জড়িত তাদেরকে দেশ ও জাতির স্বার্থে এ ঘৃণ্য কাজ বর্জন করা উচিত। তারা সমাজকে সুন্দর সুশৃঙ্খল করার জন্য নিজেদের আর্থিক ফায়দা লুটার পরিবর্তে মদসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে। এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকাই যথেষ্ট।
পরিবার প্রধানের দায়িত্ব
পিতা-মাতা, অভিভাবকবৃন্দ যারা পরিবার প্রধানের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন, তারা নিজেদের সন্তানদের মাদক দ্রব্যের ক্ষতি সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত করবেন এবং তাদের মধ্যে ও কু-অভ্যাস যেন কোন মতেই গড়ে উঠতে না পারে, সে ব্যাপারে সদা সর্তক থাকবেন। তারা যাতে অসৎ ও দুশ্চরিত্র বন্ধু বান্ধব ও সঙ্গী-সাথী যোগাড় না করতে পারে বা তাদের সাথে মিশতে না পারে, সে ব্যাপারে সুদৃষ্টি রাখবেন। সন্তানদের স্নেহ ও মায়া-মমতা দিয়ে সর্বদা কাছে রাখবেন এবং পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করবেন। পিতা-মাতার প্রধান দায়িত্ব সন্তানকে প্রথমে ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা।
শিক্ষকদের দায়িত্ব
শিক্ষকগণ তাঁদের সুন্দর চরিত্র, আচার-আচরণ, আদেশ ও উপদেশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে মাদক মুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। যদি শিক্ষকগণ ছাত্র-ছাত্রীদের এ মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও উপদেশ দিতে থাকেন, তাহলে ছাত্ররা এ কুপথে অগ্রসর হতে সাহস পাবে না। ফলে মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে উঠবে।
ইমাম ও আলিমদের দায়িত্ব
দেশের মানুষ যে কোন সামাজিক সমস্যা সমাধানে মসজিদের খতিব, ঈমাম ও আলেমগণের সাহায্য-সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন। আমাদের দেশে প্রায় তিন লক্ষ মসজিদ রয়েছে তাই মসজিদে বা ওয়াজ মাহফিলে জুম’আর খুতবার ভাষণে মাদক দ্রব্যের ক্ষতিকর দিকগুলো কুরআন হাদিসের আলোক উপস্থাপন করেন। তাহলে মুসল্লিগণ মাদক দ্রব্য গ্রহণ না করার ব্যাপারে সজাগ হয়ে যাবে।
জনপ্রতিনিধি
সমাজের নেতৃত্বস্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীগণ যদি মাদক দ্রব্যের প্রসার রোধের দৃঢ়সংকল্প নিয়ে প্রচেষ্টা চালান তাহলে দেশকে মাদকমুক্ত রাখা সম্ভব হবে।
আইনের সঠিক প্রয়োগ
সরকার মাদক দ্রব্যের বিরুদ্ধে যে আইন প্রণয়ন করেছে তার সঠিক প্রয়োগ থাকলে সমাজে মাদক দ্রব্য আর দেখা যাবে না কেউ ব্যবহার করবে না।
প্রচার মাধ্যম
মাদকের কুফল স্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াকে আরো ব্যাপক প্রচার ও প্রসার চালাতে হবে। তাহলে দেশ থেকে মাদক নির্মূল হবে।
ধর্মীয় চেতনা
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মাদকাসক্তি অপবিত্র, ক্ষতিকর ও শয়তানের নিকৃষ্ট কারসাজি যা মানুষকে আল্লাহর স্মরণ, নামাজ সহ যাবতীয় ইবাদত থেকে সরিয়ে নেয়। তাই জনগণকে কুরআন ও হাদীসে মদের কুফল সম্পর্কে যেসব বাণী রয়েছে, সেগুলো শুনাতে হবে এবং মদকের বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে হক্কানী ওলামা ও পীর মাশায়েখের শরণাপন্ন, তাবলীগ জামাতে সময় ব্যয় ও সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ অনুসরণ করলে সমাজ থেকে মাদক নির্মূল সহজ হবে।
পরিবেশে বলা যায় মাদকদ্রব্য কোন অবস্থাতেই গ্রহণীয় নয়। এটি ধর্মীয়, দৈহিক, মানসিক, নৈতিক, ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষতি সাধন করে। তাই সরকার ও সমাজের সকল স্তরের লোকজন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে সোচ্চার হতে হবে। প্রয়োজনবোধে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করে মাদকদ্রব্য গ্রহণ ও বহন, বিতরণ বন্ধ করতে হবে। তবেই সমাজ থেকে মাদক দ্রব্যসহ অপরাধ প্রবণতা দুর হবে এবং সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ মাদক মুক্ত দেশ হিসাবে গড়ে উঠুক।
লেখক:
এম.কলিম উল্লাহ
সংবাদ কর্মী উখিয়া, কক্সবাজার।।
পাঠকের মতামত